0302-656433, Mobile : 01815-666981
শতবর্ষ অতিক্রমকারী রাউজান আর.আর.এ.সি. মডেল সরকারি হাই স্কুল বর্তমানে তার স্বকীয়তা ও ঐতিহ্যকে লালন করে সুনাম অক্ষুন্ন রেখে অত্র এলাকার জনসাধারণের হাতে শিক্ষার আলোকবর্তিকা তুলে দিচ্ছে। ১৮৩৫খৃ: এ বিদ্যালয়ের জন্ম হলেও ১৮৯৮ সালে উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি যাঁদের হৃদয়ে এ বিদ্যালয়ের জ্ঞানের ছোঁয়া লেগেছে, তাঁরাই বর্তমানে দেশে-বিদেশে, শিক্ষা-সংস্কৃতিতে ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গৌরবময় ভুমিকা রাখাছে এবং নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাতন্ত্রকামী প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অতি প্রাচীনতম। এ বিদ্যালয় শুধু আধুনিক যুগপোযোগী ও মানসম্মত শিক্ষাদানে বিশেষত্ব অর্জনে সীমাবদ্ধ তা নয়,বই কেন্দ্রিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা, সহ-পাঠ ক্রমিক শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের সুশৃংখল ও সু-পরিকল্পিত কার্যক্রম ও পদ্ধতিগত পাঠদান, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও খেলাধুলা সব ক্ষেত্রে বহিরাঙ্গনেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। এরই ফলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর যুগান্তকারী পদক্ষেপ প্রত্যেক উপজেলায় মানসম্মত একটি করে মাধ্যমিক স্কুল সরকারিকরণের ঘোষণানুযায়ী মান্যবর সাংসদ জনাব
এ .বি. এম. ফজলে করিম চৌধুরী এমপি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ২৪/০৯/১৮ খ্রিঃ তারিখে সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন আসে এবং সরকারিকরণ হয়। সরকারিকরণ হওয়ার পেছনে যাদের অবদান সংশ্লিষ্ট জনকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের ইতিবাচক পরামর্শে ও অভিক্ষ শিক্ষকমন্ডলীর একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে এবং ২০১৪ সালে শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক রাউজান উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করে। শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ও মানবিক গুণের উন্মেষ ঘটিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভে যেমন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ভূমিকা থাকে, তেমনি অভিভাবকের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। কারণ শিক্ষার পূর্ণতার জন্য “শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক ” ত্রি-বিধ-সেতু বন্ধন প্রয়োজন।
পরিশেষে, সম্মানিত অভিভাবকগণের প্রতি আহবান,আপনার সন্তানকে সুশিক্ষিত, সুনাগরিক, ও আত্মনির্ভশীল হিসেবে গড়ে তোলার আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়ে আপনার সহযোগিতা একান্ত কামনা করছি।